December 25, 2024, 6:49 am
তামান্না আক্তারঃ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ১০ দিনব্যাপী ‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪’ শীর্ষক যৌথ মহড়াটি আজ দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী খাঁটি বঙ্গবন্ধুতে সমাপ্ত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভ্যাগত ও মহড়াতে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের মাঝে সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের প্রতিনিধি দলের প্রধান মেজর জেনারেল এরিক সি নোভাক ও বক্তব্য প্রদান করেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স Helen LaFave উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ বাহিনীত্রয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী উভয় দেশের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পুলিশ এর প্রতিনিধিবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪’ এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে ও একটি এএন-৩২ পরিবহন বিমান এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুই টি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্স এর ৭৭ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১২ জন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩০ জন সদস্য এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪০ জন প্যারাট্রুপার অংশগ্রহণ করেন।
‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ’- এ আপদকালীন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়। এই যৌথ অনুশীলনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের মধ্যে আন্তঃসক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, পরিবহন বিমানের উন্নত রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন
কার্য পদ্ধতি, প্রশিক্ষণকালীন ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কার্য উপযোগিতা মূল্যায়নসহ উন্নত ব্যবহার এবং ভবিষ্যতে এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যে সকল যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে তা নির্ণয় সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। উভয় দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪’ মহড়াটি উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দূর্যোগ মোকাবেলার সামর্থ বৃদ্ধির পাশাপাশি পারস্পারিক সমঝোতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে।